গ্রীষ্মের এই গরমে এসি ছাড়া ঘর-অফিস এবং শরীর ঠান্ডা রাখার সহজ সাধারণ উপায়

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে গতকিছু বছর ধরেই সারাবিশ্বে গরমের বা’ উষ্ণতার মাত্রা বহুকাংশে বেড়ে গিয়েছে। ঘরে, বাইরে, অফিসে কোথা’ও রেহাই নেই এই অসহ্য গরম থেকে। গরমের মাত্রা বেশি থাকায় অতিষ্ঠ হচ্ছে সর্বসাধারণ।

আর এর মধ্যে যে সকল মানুষের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি নেই তাদের কষ্ট খানিকটা বেশী’ই হয়। আসুন জেনে নেই এসি ছাড়া’ই কি করে ঘর-অফিস এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখা যায়।

টেবিল ফ্যান:
একটু বুদ্ধি করে মাথা খাটালে আর সামান্য কিছু নিয়ম ফলো করে একটা টেবিল ফ্যানেই এসির প্রশান্তি পাওয়া সম্ভব। টেবিল ফ্যান এর পেছনে যদি বেশকিছু বরফ বা ঠান্ডা ফ্রিজের পানি রেখে দেন তবে বেশ আরাম বোধ করবেন। ফ্যানের বাতাস হিমশীতল হয়ে যাবে।

সুতি কাপড়ের চাদর:
গ্রীষ্মের গরমকে এভয়েড করতে এবং আরামদায়ক ঘুমের জন্য বিছানায় অবশ্যই সুতি কাপড়ের এবং হালকা রং এর বিছানার চাদর ব্যবহার করুন।

ফ্রিজ বার্ন:
শোবার কিছুক্ষণ আগে বিছানার চাদরটি একটি প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে কয়েক মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। চমৎকার ঠাণ্ডা অনুভূতি নিয়ে ঘুমাতে চাইলে এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন।

হট’ওয়াটার ব্যাগ:
আরামদায়ক ঘুমাতে চাইলে হট’ওয়াটার ব্যাগ’কে ঠান্ডা ফ্রিজের পানি দিয়ে ভরে নিন এবং সেটাকে পাশে নিয়ে ঘুমান। হট’ওয়াটার ব্যাগ আইস ব্যাগ হিসেবে কাজ করবে।

সিলিং ফ্যান:
সকল ঘরে’ই মোটামুটি সিলিং ফ্যান থাকে, তবে পাশাপাশি একটা ছোট টেবিল ফ্যান’ও রাখুন এবং টেবিল ফ্যানটিকে জানালার দিকে মুখ করে চালিয়ে দিন। ফলে ঘরের গরম বাতাস সহজে বেরিয়ে যেতে পারবে, আর ঘরকে রাখবে ঠাণ্ডা এবং ভেন্টিলেশনের কাজ করবে।

মিশরিয়ান ট্রিক:
দুহঃসহ গরম থেকে বাঁচার জন্য মিশরিয় এ’ পদ্ধতিটি হাজার বছরের পুরোনো। আর সেটা হলো একটি সুতি চাদর বা’ গামছা ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে, পানি ঝরিয়ে গায়ের ওপর জড়িয়ে রাখা, শরীর যাতে ভিজে না’ যায় সে জন্য ভেজা চাদরের নিচে একটি শুকনো চাদর ব্যবহার করতে হবে।

সাধারণত প্রাচীন পদ্ধতি:
একটি অগভীর পাত্র বরফে ভর্তি করে রুমে রেখে দিন কিছুক্খন পরে লক্ষ্য করবেন শীতলতায় ভরে যাবে আপনার চারপাশ।

শরীরের পালস পয়েন্ট:
হাতের কব্জি, কনুই, ঘাড়, কুঁচকি, গোড়ালি আর হাঁটুতে কিছুক্ষণ আইস প্যাক ধরে রাখুন। দেখবেন খুব দ্রুতই শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে

খোলামেলা হালকা পোশাক:
খুব বেশি গরম লাগছে? গরম থেকে বাঁচতে সবসময় হালকা পাতলা সুতি কাপড় ব্যবহার করুন, ফলে শরীরে অনেক বেশি বাতাস চলাচল করতে পারবে আরাম বোধ হবে।

পানি:
গ্রীষ্মের সময় পরিমিত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরী। পানির অপর নাম জীবন এটা আমরা সবাই জানি তাই গরমে শরীর যাতে পানিশূন্য না’ হয় সেই দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

নিয়মিত গোসল:
গোসল শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়ে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ঘামের চিটচিটে ভাব অস্বস্তি দূর করে।

নিচু বিছানা বা’ ফ্লোরে ঘুমানো:
উষ্ণ বাতাস সবসময় উপরের দিকে উঠে। সেজন্য অপেক্ষাকৃত নিচু বিছানা ব্যবহার করতে পারেন অথবা ফ্লোরেই পাতলা তোসক বিছিয়ে ঘুমোতে পারেন।

ঘর অন্ধকার বা’ ডিম লাইট ব্যবহার:
ইলেকট্রিক বাতি থেকে তাপ সৃষ্টি হয়, ঘরকে ঠাণ্ডা রাখতে বাতি বন্ধ করে রাখুন প্রয়োজনে ডিম লাইট ব্যবহার করুন, তাপ সৃষ্টি করে এমন সব বৈদ্যুতিক গৃহস্থালী সামগ্রী বা গেজেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকলেও ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।

ভেজা কাপড়:
খোলা জানালায় অথবা ঘরের যে কোন স্থানে একটি ভেজা চাদর ঝুলিয়ে দিন। বাইরের বাতাস ঘরে ঠাণ্ডা হয়ে ঢুকে ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেবে।

এক বালতি পানি:
ঘরকে ঠান্ডা রাখতে ঘরে এক বালতি পানি রাখতে পারেন সম্ভব হলে পানিতে বরফ মেশাতে পারেন।

হাত মুখে পানি দেয়া:
খুব বেশি গরম লাগলে কিছুক্ষণ পর পর হাত মুখ ধুয়ে নিতে পারেন হালকা প্রসাধনী ব্যবহার করুন।

গুরুপাক খাবার এভয়ড করন:
শরীর ঠান্ডা রাখতে খাবার হ্যাবিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গরমে সুস্থ এবং ফিট থাকতে হলে অবশ্যই হালকা প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করাই উত্তম। গ্রীষ্মের এই কঠিন বাস্তবতায় সকলের জীবন সহজ সুস্থ হোক এ’ প্রার্থনা রইলো।



from Self Healing Hub https://ift.tt/YwZxSlB
via IFTTT

Comments

Popular posts from this blog

ইফতারের পূর্ব পর্যন্ত প্রতিটি রোজাদারের জন্য ফেরেশতা দোয়া করতে থাকে। — আল হাদিস

কিভাবে ভুজঙ্গাসন করতে হয় এবং এর উপকারিতা (The Cobra Pose) - Self Healing Hub