রোজায় সুস্থ থাকতে চা-কফির বদলে যা খাবেন
ইফতারের পরপরই অনেকের চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তারা মনে করেন, চা-কফি খেলে ক্লান্তি অথবা অবসাদ দূর হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে এটি ঠিক নয়। একটানা কয়েকদিন চা খেতে থাকলে শরীরে ভিটামিন বি-এর অভাব দেখা দিতে পারে এবং বেরিবেরি রোগ হতে পারে। ঘুমের ব্যাঘাত বা অনিদ্রা, হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত এবং আথ্রাইটেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
কাঠবাদাম
ইফতার অথবা সাহরি খাওয়ার পর পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ কাঠবাদাম বা আমন্ড খেলে ক্লান্তি থেকে দূরে থাকা যায়। চিকিৎসকদের দৃষ্টিতে কাঠবাদাম বা আমন্ড খাওয়া বেশ ভালো একটি অভ্যাস। এতে আমিষ, ফাইবার, স্নেহ জাতীয় পদার্থ থাকায় শরীরকে সজীব-সতেজ করে দেয় সহজেই। কাঠবাদাম বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
তরমুজ
আমাদের শরীরের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। কিন্তু তারপরেও পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তরমুজ এই ঘাটতি মেটাতে পারে। এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ক্লান্তি দূর করতেও ফলটির জুড়ি নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত তরমুজ খেলে অবসাদগ্রস্ততা আর থাকে না।
খেজুর
খেজুর খেলে পেট পরিষ্কার হয়। প্রায় সবাই ফলটি ইফতারে খেয়ে থাকেন। চা-কফির চেয়ে দীর্ঘ সময় শরীরকে চাঙা রাখতে পারে এই ফল। একাধিক গবেষণায় খেজুরের ক্লান্তি দূর করার ক্ষমতার ব্যাপারে জানা গেছে। অবসাদ বা ক্লান্তি দূর করার জন্য নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ডিম
আমিষ ও চর্বিযুক্ত উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি খাবারের নাম ডিম। গবেষকরা ডিমের মাধ্যমে ক্লান্তি দূর করার বিষয়ে বলেছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা মনে করেন, চা-কফির চেয়েও শরীরের সতেজ ভাব আনতে দ্রুত কাজ করে ডিম। তবে দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই শ্রেয়।
কলা
পটাসিয়াম, ফাইবার এবং শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। কলায় এসব উপাদান রয়েছে। তাই যেকোনো সময় কলা খেলে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। গবেষকরাও মনে করেন, কলা খেলে সব ধরনের অবসাদ, বিষণ্নতা দূর হয়ে যায়। নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করলে যেকোনো কাজে বেশি মনোযোগ দেওয়া যায়।
from Self Healing Hub https://ift.tt/Wl0nNq8
via IFTTT
Comments
Post a Comment